![]() |
বাংলাদেশ ইনিংসে চার-ছয় নয়, এমন দৃশ্যই বেশি দেখা যাচ্ছে। ছবি: এএফপি |
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৭০ রানের লক্ষ দেওয়ার পরই ম্যাচ একরম শেষ হয়ে গিয়েছিল। গৌরবময় অনিশ্চয়তার মুখস্থ বুলিটা ভুলে বলতেই হচ্ছে, এ লক্ষ্য অন্তত এ সফরের বাংলাদেশের পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এমন ব্যাটিং-ধসের কথাও নিশ্চয় কেউ ভাবতে পারেননি। ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে 200 রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম পরাজয় এটি।
ইদানীং বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই দর্শকের মনে বিভ্রান্তি। বাংলাদেশ যখন বোলিং করে, তখন উইকেট যেন ব্যাটিংরাজত্ব। তখন মনে হয়, এমন উইকেট নিয়েই তো স্বপ্ন দেখেন ব্যাটসম্যানরা। এ উইকেট পারলে পকেটে পুরে নিয়ে যাবেন তাঁরা। মাঠটাও মনে হয় হঠাৎ ছোট যায়। বাংলাদেশের বোলারদের দেখেও মায়া জাগে মনে, আহা, এ উইকেটে বোলিং করতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো তাঁদের।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হতেই মনে হয় অন্য কিছু। হঠাৎ করেই বধ্যভূমিতে রূপ নেয় উইকেট। ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বস ওঠে রান তুলতে। দেখে মনে হয়, বোলিং প্রান্তে যাঁরা বল করছেন, তাঁরা সব ম্যালকম মার্শাল কিংবা ওয়াসিম আকরামের ভাবশিষ্য। স্পিনাররাও যেন একেকজন হয়ে উঠেন মুত্তিয়া মুরালিধরন কিংবা শেন ওয়ার্ন । গতি, আগ্রাসন, সুইং অথবা স্পিনের ভেলকিতে পটাপট উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
আজ ইস্ট লন্ডনেও এমনটাই ঘটল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নেই ইমরুল কায়েস (১) । কায়েস অন্তত বলতে পারবেন, শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। দুই ওভার পর এলবিডব্লিউ হওয়া লিটন দাস (৬) যে সেটাও বলতে পারবেন না। সৌম্য সরকারের (৮) অবস্থা তাঁর ওপেনিং পার্টনারের মতো। পঞ্চম ওভারেই ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসল বাংলাদেশ।
দলের এমন সময়ে সাকিল আল হাসন ও মুশফিকুর রহিম একটু আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ২১ বলে ৮ রান করেই ধৈর্য
চ্যুতি ঘটল। আন্দিলে ফিকোয়াওর একটি বলে এমন এক শট খেললেন, মনে হলো সে বলেই ছক্কা মারলে বোধ হয় ম্যাচ জিতে যেত বাংলাদেশ। ৩১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি শেষ হলো দ্বাদশ ওভারে। ১০ রান পরেই মুশফিকের পথে মাহমুদউল্লাহ (২)। অভিষিক্ত উইলেম মুল্ডারের বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লু তিনি।
এমন ব্যাটিং প্রদর্শনীর মাঝেও বাংলাদেশ যে এক'শ পার করেছে, এর কারণ সাকিব। একমাত্র ব্যতিক্রম হয়ে একটু-আধটু শট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। সাব্বিরকে নিয়ে সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। তবে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে সাকিব ফিরতেই ভদ্রস্থ স্কোরের আশাও শেষ হলো। ৭ রান পরেই চলে গেছেন সাব্বির রহমান (৩৯)।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাশরাফি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। কিন্তু সেটাও তো ২০০ এর কম হলো না।
ইদানীং বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই দর্শকের মনে বিভ্রান্তি। বাংলাদেশ যখন বোলিং করে, তখন উইকেট যেন ব্যাটিংরাজত্ব। তখন মনে হয়, এমন উইকেট নিয়েই তো স্বপ্ন দেখেন ব্যাটসম্যানরা। এ উইকেট পারলে পকেটে পুরে নিয়ে যাবেন তাঁরা। মাঠটাও মনে হয় হঠাৎ ছোট যায়। বাংলাদেশের বোলারদের দেখেও মায়া জাগে মনে, আহা, এ উইকেটে বোলিং করতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো তাঁদের।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হতেই মনে হয় অন্য কিছু। হঠাৎ করেই বধ্যভূমিতে রূপ নেয় উইকেট। ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বস ওঠে রান তুলতে। দেখে মনে হয়, বোলিং প্রান্তে যাঁরা বল করছেন, তাঁরা সব ম্যালকম মার্শাল কিংবা ওয়াসিম আকরামের ভাবশিষ্য। স্পিনাররাও যেন একেকজন হয়ে উঠেন মুত্তিয়া মুরালিধরন কিংবা শেন ওয়ার্ন । গতি, আগ্রাসন, সুইং অথবা স্পিনের ভেলকিতে পটাপট উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
আজ ইস্ট লন্ডনেও এমনটাই ঘটল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নেই ইমরুল কায়েস (১) । কায়েস অন্তত বলতে পারবেন, শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। দুই ওভার পর এলবিডব্লিউ হওয়া লিটন দাস (৬) যে সেটাও বলতে পারবেন না। সৌম্য সরকারের (৮) অবস্থা তাঁর ওপেনিং পার্টনারের মতো। পঞ্চম ওভারেই ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসল বাংলাদেশ।
দলের এমন সময়ে সাকিল আল হাসন ও মুশফিকুর রহিম একটু আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ২১ বলে ৮ রান করেই ধৈর্য
চ্যুতি ঘটল। আন্দিলে ফিকোয়াওর একটি বলে এমন এক শট খেললেন, মনে হলো সে বলেই ছক্কা মারলে বোধ হয় ম্যাচ জিতে যেত বাংলাদেশ। ৩১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি শেষ হলো দ্বাদশ ওভারে। ১০ রান পরেই মুশফিকের পথে মাহমুদউল্লাহ (২)। অভিষিক্ত উইলেম মুল্ডারের বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লু তিনি।
এমন ব্যাটিং প্রদর্শনীর মাঝেও বাংলাদেশ যে এক'শ পার করেছে, এর কারণ সাকিব। একমাত্র ব্যতিক্রম হয়ে একটু-আধটু শট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। সাব্বিরকে নিয়ে সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। তবে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে সাকিব ফিরতেই ভদ্রস্থ স্কোরের আশাও শেষ হলো। ৭ রান পরেই চলে গেছেন সাব্বির রহমান (৩৯)।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাশরাফি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। কিন্তু সেটাও তো ২০০ এর কম হলো না।
0 comments: